বাচ্চা হারিয়ে গেলে কি করবেন?

বাচ্চা হারিয়ে গেলে কি করবেন- cybersheba.com
শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে তাদেরকে সচেতন করে তোলা, প্রয়োজনীয় তথ্য শিখিয়ে দেওয়া, এবং প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া—সব কিছুই সমান গুরুত্বপূর্ণ।

বাচ্চা হারিয়ে গেলে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে হবে পাশাপাশি জাতীয় শিশু সহায়তা ১০৯৮ নম্বরে কল দিতে হবে। এছাড়া আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে, যেটা আজকের পোষ্টের মূল বিষয়।

বাচ্চা হারিয়ে গেলে এটি একটি খুবই হতাশাজনক এবং চিন্তার বিষয়। প্রথমে যা করতে হবে তা হলো, শান্ত থাকা। উত্তেজিত হলে আপনি কোনো সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারবেন না। যেকোনো ধরনের শারীরিক বা মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে, মনে রাখবেন যে সময় অতিবাহিত হচ্ছে, এবং আপনাকে দ্রুত কাজ করতে হবে।

তাই বাচ্চা হারিয়ে গেলে কিভাবে কি করবেন, কার সাথে কিভাবে যোগাযোগ করতে হবে – আজকের পোস্টে সেই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। নিজে জানতে ও অন্যকে জানাতে তাই পুরো লেখাটি পড়ে দেখুন।

নিকটস্থ থানায় জানানো

বাচ্চা হারানোর পর প্রথম কাজ হলো, নিকটস্থ থানায় অবহিত করা। এক্ষেত্রে, পুলিশ এবং স্থানীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে জানানো উচিত। তাদের কাছে আপনার বাচ্চার ছবি, বয়স, নাম এবং সর্বশেষ অবস্থান তুলে দিন।

পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং তারা আপনার বাচ্চাকে খুঁজে বের করতে সহায়ক পদক্ষেপ নেবে। আপনি তাদের সাথে সম্পূর্ণ তথ্য শেয়ার করুন যেন তারা দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারে।

নিকটস্থ এলাকা ও আশেপাশে খোঁজ শুরু করা

বাচ্চা হারিয়ে গেলে নিকটস্থ থানায় জানানোর পর, আপনি দ্রুত আপনার আশেপাশের এলাকা খুঁজে দেখতে পারেন। বিশেষ করে, যদি বাচ্চা কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় বা গন্তব্যে যেতে গিয়ে হারিয়ে থাকে, তবে সেখানকার পরিবেশ এবং অন্যান্য লোকজনের সাথে যোগাযোগ করুন।

বাচ্চা হারিয়ে গেলে পাবলিক স্থান যেমন শপিং মল, স্কুল বা পার্কে হারিয়ে যায়, তাহলে সেখানকার কর্মচারী বা অন্যান্য মানুষদের সাথে কথা বলুন। তাদের সাহায্যে আপনি দ্রুত খোঁজ পেতে পারেন।

বাচ্চা হারিয়ে গেলে জাতীয় শিশু সহায়তা ১০৯৮

শিশুদের সুরক্ষার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতরের আওতায় ইউনিসেফের সহযোগিতায় চালু করা হয়েছে চাইল্ড হেল্পলাইন ১০৯৮। দেশের যেকোনো প্রান্তে যদি কোনো শিশু সহিংসতা, নির্যাতন বা শোষণের শিকার হয়, তবে সেই শিশু বা অন্য কোনো ব্যক্তি বিনামূল্যে ১০৯৮ হেল্পলাইনে ফোন করে সহায়তা গ্রহণ করতে পারবেন। এভাবে আপনি দ্রুত এবং সহজে সাহায্য পেতে পারবেন।

এটি একটি বিশেষ সেবা ব্যবস্থা, যা শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সকল ধরনের গোপনীয়তা বজায় রেখে সহায়তা প্রদান করে। সাধারণ ফোনের মাধ্যমে যে কেউ ১০৯৮ হেল্পলাইনে কল করে সাহায্য নিতে পারেন। দেশের যেকোনো স্থান থেকে ২৪ ঘণ্টা এই হেল্পলাইন সেবা পাওয়া যায়।

বাচ্চা হারিয়ে গেলে কিভাবে কি করতে হবে এ ব্যাপারে তাদের একটি বিস্তারিত পিডিএফ আছে চাইলে সেটা এখান থেকে দেখে নিতে পারেন। উক্ত পিডিএফ-এ অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য ছবিসহ সংবলিত হয়েছে।

বাচ্চা হারিয়ে গেলে সন্ধান মিলবে ‘নিখোঁজ’ অ্যাপে

‘থার্ড আই সোশ্যাল টেকনোলজি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপ এনেছে, যার নাম ‘নিখোঁজ’। এই অ্যাপের উদ্যোক্তা মইনুল ইসলাম ও হাসান শাহরিয়ার। প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মইনুল ইসলাম বলেন, শিশুদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতায় হারিয়ে যাওয়া শিশুদের সমস্যা তাঁদের দারুণভাবে নাড়া দেয়। সেখান থেকেই এই অ্যাপ তৈরির ভাবনা আসে।

Nikhoj-app-বাচ্চা হারিয়ে গেলে কি করবেন- cybersheba.com

অ্যাপটিতে দুটি প্রধান ফিচার রয়েছে। প্রথমটি হলো ‘অ্যাড চিলড্রেন’, যেখানে কেউ যদি তাঁর হারিয়ে যাওয়া শিশুর খোঁজ চান, তাহলে ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য সেখানে আপলোড করতে পারবেন। দ্বিতীয়টি ‘ফাইন্ড চিলড্রেন’ অপশন—যদি কেউ কোনো শিশুকে খুঁজে পান এবং তার স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে চান, তাহলে সেখানে শিশুর ছবি ও তথ্য দিয়ে খোঁজ করা যাবে। যদি আগে থেকে সেই শিশুর তথ্য অ্যাপে আপলোড করা থাকে, তাহলে সহজেই তার পরিবারকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

মইনুল ইসলাম জানান, অ্যাপটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে কম তথ্য চাওয়া হয়েছে, তবে ভবিষ্যতে তথ্যের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। শিশুর তথ্য আপলোডের সময় জিডির কপি এবং আপলোডকারীর পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য কিছু তথ্য চাওয়া হবে। একইভাবে, কোনো শিশু খুঁজে পেলে যে ব্যক্তি ফিরিয়ে দিতে চাইছেন, তাঁর তথ্যও অ্যাপে সংরক্ষিত হবে। শিশু হস্তান্তরের কাজটি থানার মাধ্যমে বা কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার সহায়তায় সম্পন্ন হবে।

একবার কোনো শিশুর তথ্য অ্যাপে আপলোড করা হলে, নিখোঁজ অ্যাপের টিম সংশ্লিষ্ট আপলোডকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া শিশুর তথ্য ছড়িয়ে দেয়।

আর কেউ যদি হারিয়ে যাওয়া শিশুকে খুঁজে পান, কিন্তু সেই শিশুর তথ্য অ্যাপে না থাকে, সেক্ষেত্রে অ্যাপের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেবে।

সিকিউরিটি ক্যামেরা চেক করা

বাচ্চা হারিয়ে গেলে, আশ-পাশের সিকিউরিটি ক্যামেরাগুলো চেক করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি জানেন যে আপনার বাচ্চা কোথায় হারিয়েছে বা কোথায় শেষবার দেখা গিয়েছিল, সেখানে সিকিউরিটি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ চেক করা যেতে পারে। এই ফুটেজে বাচ্চার গতিবিধি বা অন্য কোনো সাহায্যকারী তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

বাচ্চা হারিয়ে গেলে নিজের বাড়ী সহ আশ-পাশের যতগুলো সিসি ক্যামেরা আছে সেগুলো চেক করে ফুটেজ সংগ্রহ করতে হবে। বাচ্চা হারিয়ে গেলে এটা পুলিশকে সাহায্য করবে, যারা ওই ফুটেজ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারবেন।

বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের জানানো

এছাড়া, আপনার বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদেরও অবহিত করুন যাতে তারা বাচ্চার খোঁজে সাহায্য করতে পারে। এটি আরও নিশ্চিত করবে যে, আপনার বাচ্চা যদি কোথাও নিরাপদে থাকে, তারা সেখানে পৌঁছাতে পারবে।

বাচ্চা হারিয়ে গেলে বাচ্চা যাদের সাথে মিশত তাদের কাছে খোঁজ নিতে হবে। বিশেষ করে, যারা কাছাকাছি এলাকায় থাকেন তাদের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করা

এখনকার সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে যেখানে আপনি দ্রুত কোনো ঘটনা প্রচার করতে পারেন। বাচ্চা হারিয়ে গেলে আপনার বাচ্চার ছবি এবং তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন, যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি।

ফেসবুকে অনেক বড় বড় একটিভ গ্রুপ আছে, যেখানে বাচ্চা হারিয়ে গেলে পোষ্ট করলে অনেকের সাড়া মিলবে। সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে, বৃহত্তর জনগণের সাহায্য পাওয়া যেতে পারে এবং কোনো পরিচিত ব্যক্তি আপনার বাচ্চার অবস্থান জানাতে পারেন।

মানসিক স্বাস্থ্য এবং পরবর্তী পদক্ষেপ

বাচ্চা হারিয়ে গেলে বিশেষ করে বাচ্চার মা ট্রমায় পড়ে যান। বাচ্চা হারানোর ঘটনা একটি গভীর মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে মা-বাবার জন্য। আপনি যদি মানসিকভাবে অস্থির অনুভব করেন, তবে কাউন্সেলিং বা পেশাদার সাহায্য নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

একটি শিশু হারিয়ে যাওয়ার পর মা-বাবার মনে অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে, “তারা কোথায় যাবে?”, “তারা কেমন আছেন?” ইত্যাদি। এই ধরনের মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে মানসিক স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য নিতে পারেন।

ভবিষ্যতে বাচ্চা হারানোর ঘটনা রোধে কিছু সতর্কতা

বাচ্চা হারানোর ঘটনা রোধ করতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিতঃ

  • আপনার বাচ্চার কাছে যোগাযোগের জন্য ফোন বা ট্যাগ দিন, যাতে সে সহজেই আপনাকে জানাতে পারে।
  • বাচ্চাকে নিরাপদ জায়গায় রেখে বের হলে, তার অবস্থান বারবার যাচাই করুন।
  • নিরাপদ জায়গায় রেখে যাওয়ার পর অন্য শিশুদের সাথে খেলা করার জন্য তাকে উদ্বুদ্ধ করুন, যাতে সে পরিচিত এবং নিরাপদ থাকবে।
  • আপনার বাচ্চার স্কুল বা ডে কেয়ার সেন্টার সম্পর্কিত নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জানা থাকলে, তা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন।

ভিড়ের মধ্যে বাচ্চা যাতে না হারিয়ে যায় সেজন্য কিছু টিপস

১. শিশুকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুখস্থ করান
শিশুকে সবসময় বাবা-মায়ের নাম, ফোন নম্বর ও বাসার ঠিকানা মুখস্থ করিয়ে রাখুন। এ ছাড়া বাসার রঙ, এলাকা বা আশপাশের পরিচিত দিকনির্দেশনাও শেখান। যদি শিশুর বয়স খুব কম হয় এবং এসব তথ্য মনে রাখতে না পারে, তবে একটি ছোট কাগজে সব লিখে তার ব্যাগে রাখুন বা গলার চেইনে ঝুলিয়ে দিন। অন্তত একটি মোবাইল নম্বর তার হাতে লিখে দিন।

২. উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরাতে উৎসাহ দিন
ভিড়ের মাঝে শিশুকে আলাদা করে চিনে নিতে উজ্জ্বল রঙের পোশাক অত্যন্ত কার্যকর। যেমন লাল, হলুদ, কমলা রঙ দূর থেকেও সহজে চোখে পড়ে। এটা যতই সাধারণ মনে হোক, বিপদের মুহূর্তে এটাই আপনাকে আপনার শিশুকে খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।

৩. শিশুকে একটি বিশেষ চিহ্ন দিন
শিশুকে এমন কিছু পরাতে পারেন যা তাকে আলাদা করে চেনায় সহায়ক হবে—যেমন একটি উজ্জ্বল রঙের টুপি, ব্যাকপ্যাক, বিশেষ ধাঁচের চশমা ইত্যাদি। এসব চিহ্ন শুধু দূর থেকে তাকে শনাক্ত করতে নয়, হারিয়ে যাওয়ার পর অন্য কেউ তাকে খুঁজে পেলে চিনে নিতেও কার্যকর।

৪. শিশুর ছবি সবসময় সঙ্গে রাখুন
প্রয়োজনের সময় শিশুর ছবি দেখিয়ে খোঁজ নিতে পারবেন। তাই মোবাইলে তার ছবি রাখার পাশাপাশি একটি হার্ডকপি ছোট ফটোও পকেটে রাখুন। একইভাবে শিশুর হাতেও বাবা-মায়ের ছবি থাকা ভালো—যাতে কেউ চাইলেই তার পরিবারের সদস্যদের শনাক্ত করতে পারে।

৫. সেল্ফ-ডিফেন্স ও বুদ্ধিমত্তার শিক্ষা দিন
শিশুকে ছোট থেকেই কিছু নিরাপত্তাবিষয়ক কৌশল শিখিয়ে দিন। যেমন—অপরিচিত কেউ জোর করে কোথাও নিতে চাইলে জোরে চিৎকার করা, মিথ্যা লোভে না পড়া, বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়া কোথাও না যাওয়া, বিপদের সময় পালানো বা আশ্রয় নেওয়া এবং সাহায্য চাওয়ার জন্য নির্ভরযোগ্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ককে খুঁজে নেওয়া।

শেষ কথা

বাচ্চা হারিয়ে গেলে অভিভাবকদের জন্য তা এক ভয়ংকর ও আতঙ্কজনক পরিস্থিতি। তবে আগেই কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এমন পরিস্থিতি অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব।

শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে তাদেরকে সচেতন করে তোলা, প্রয়োজনীয় তথ্য শিখিয়ে দেওয়া, এবং প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া—সব কিছুই সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে থাকা সহায়তাগুলোর সঠিক ব্যবহার, যেমন ১০৯৮ হেল্পলাইন বা ‘নিখোঁজ’ অ্যাপ, হারিয়ে যাওয়া শিশুকে খুঁজে পেতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

মনে রাখতে হবে, প্রতিটি শিশুই আমাদের সমাজের ভবিষ্যৎ, তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব। তাই বাচ্চা হারিয়ে গেলে প্যানিক না হয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

Picture of Ali Hayder

Ali Hayder

আমি আলী হায়দার, সাইবার সেবা'র একজন নিমিত ব্লগার। অনলাইন আর্নিং, আইটি প্রফেশন, কম্পিউটার, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি বিষয়ের উপর আমার ১৪ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। এই ওয়েবসাইটে ই-সার্ভিস নিয়ে নিয়মিত লেখা-লেখি করছি।

ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/alihayder2050/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *