দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়োগ পাওয়ার জন্য অনেক প্রবাসী অধীর আগ্রহে বসে আছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়ানডো-গুন কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা চুক্তির আওতায়, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার ল্যান্ড ফিশারি সেক্টর ও সি ফার্মিং কোম্পানিতে মৌসুমি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র বরিশাল বিভাগের অধিবাসীদের আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।
Table of Contents
বরিশাল বিভাগের আওতাধীন জেলা সমূহের বাসিন্দারা, যারা সমুদ্রের মৎস্য আহরণে অভিজ্ঞ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত প্রকৃত মৎস্যজীবী, তারা এই কর্মসংস্থানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট ও ফিশারম্যান আইডি কার্ড থাকতে হবে।
এই মৌসুমি নিয়োগ প্রাথমিকভাবে পাঁচ মাসের জন্য কার্যকর থাকবে। প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তবে অতিরিক্ত সময় কাজ করার সুযোগও থাকবে, যা কর্মীদের আয়ের পরিমাণ আরও বাড়াতে সহায়তা করবে। কর্মীরা সপ্তাহে এক দিন ছুটি পাবেন, যা তাদের বিশ্রাম ও ব্যক্তিগত কাজের জন্য সুযোগ দেবে।
বেতন কাঠামো অত্যন্ত আকর্ষণীয়। মাসিক মূল বেতন নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা অনেক কর্মীর জন্য একটি স্বপ্নপূরণের সুযোগ হতে পারে। ওভারটাইমের সুযোগ থাকায়, কর্মীরা বাড়তি আয় করতে পারবেন।
এই সুযোগটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের দক্ষতা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান করে। একই সঙ্গে, দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মসংস্থানের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে তাদের ক্যারিয়ার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়ানডো-গুন কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা চুক্তির আওতায়, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার ল্যান্ড ফিশারি সেক্টর ও সি ফার্মিং কোম্পানিতে মৌসুমি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র বরিশাল বিভাগের অধিবাসীদের আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।
বরিশাল বিভাগের আওতাধীন জেলা সমূহের বাসিন্দারা, যারা সমুদ্রের মৎস্য আহরণে অভিজ্ঞ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত প্রকৃত মৎস্যজীবী, তারা এই কর্মসংস্থানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট ও ফিশারম্যান আইডি কার্ড থাকতে হবে।
এই মৌসুমি নিয়োগ প্রাথমিকভাবে পাঁচ মাসের জন্য কার্যকর থাকবে। প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তবে অতিরিক্ত সময় কাজ করার সুযোগও থাকবে, যা কর্মীদের আয়ের পরিমাণ আরও বাড়াতে সহায়তা করবে। কর্মীরা সপ্তাহে এক দিন ছুটি পাবেন, যা তাদের বিশ্রাম ও ব্যক্তিগত কাজের জন্য সুযোগ দেবে।
বেতন কাঠামো অত্যন্ত আকর্ষণীয়। মাসিক মূল বেতন নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা অনেক কর্মীর জন্য একটি স্বপ্নপূরণের সুযোগ হতে পারে। ওভারটাইমের সুযোগ থাকায়, কর্মীরা বাড়তি আয় করতে পারবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়োগের শর্ত
- প্রার্থীদের বৈধ পাসপোর্টধারী হতে হবে এবং ন্যূনতম এক বছরের মেয়াদ থাকতে হবে।
- বয়সসীমা ২৫-৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- ল্যান্ড ফিশারি সেক্টর ও সি ফার্মিং খাতে এক বছরের বেশি কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- বরিশাল বিভাগের আওতাধীন জেলা, উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে ফিশারম্যান আইডি কার্ড থাকতে হবে।
- সমুদ্রগামী জেলের তালিকাভুক্ত ফিশারম্যান আইডি কার্ডধারী, কোরিয়ান/ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী, এবং ইপিএস পদ্ধতিতে রোস্টারভুক্ত বা রোস্টার থেকে ডিলিট করা প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
- নিয়োগ কর্তার চাহিদা মোতাবেক কর্মকাল সম্পন্ন করে নির্ধারিত সময় দেশে ফেরত আসতে হবে।
- প্রত্যাগত মৌসুমি কর্মীরা বোয়েসেলের মাধ্যমে পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অগ্রাধিকার পাবেন এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় বারে ভিসা ক্যাটাগরি পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে।
- প্রার্থীদের অবশ্যই রং বোঝার সক্ষমতার সমস্যা (কালার ব্লাইন্ডনেস) মুক্ত হতে হবে।
- মাদকাসক্ত বা সিফিলিস শনাক্ত ব্যক্তিরা অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
- ফৌজদারি অপরাধে জেল বা অন্য কোনো শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
- দক্ষিণ কোরিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানকারীরা, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত ব্যক্তিরা এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তারা আবেদন করতে পারবেন না।
- দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া-আসার বিমানভাড়াসহ নির্ধারিত ব্যয় কর্মীর নিজ দায়িত্বে বহন করতে হবে।
- অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রম আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য।
দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়োগ পাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়োগ পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের বোয়েসেল অফিসে ৩ মার্চ বেলা ১১টার মধ্যে জীবনবৃত্তান্ত, মূল পাসপোর্ট ও পাসপোর্টের কপি, ফিশারম্যান আইডি কার্ড এবং দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ (ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা) উপস্থিত থাকতে হবে। ফিশারম্যান আইডি কার্ড অবশ্যই মৎস্য অধিদপ্তরের ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। আবেদনকারীর ফিশারম্যান আইডি কার্ড মৎস্য অধিদপ্তরের http://fisherid.fisheries.gov.bd/ ওয়েবসাইটে যাচাই করে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হবে।
বোয়েসেলের সার্ভিস চার্জ ও অন্যান্য ব্যয়
দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়োগ পেতে আগ্রহী নির্বাচিত প্রার্থীদের নির্ধারিত সার্ভিস চার্জ, প্রশিক্ষণ ফি, বহির্গমন ট্যাক্স, সার্ভিস চার্জের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ভিসা ফি, কল্যাণ ফি, বিমাসহ সমুদয় ব্যয় ও ফেরতযোগ্য জামানত প্রার্থীকে বহন করতে হবে। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়োগ পেতে আগ্রহী প্রার্থীকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্ম সম্পন্ন করে দেশে ফেরত আসবে মর্মে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নির্বাচিত প্রার্থীর অভিভাবক ও সুপারিশকারীকে স্বাক্ষর করতে হবে। চূড়ান্ত নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, নির্ধারিত সার্ভিস চার্জ ও অন্যান্য ব্যয়ের পে-অর্ডার বোয়েসেলে জমা দিতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য
দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়োগ পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন চাকরির সাক্ষাৎ ও চূড়ান্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা বহন করবে না। চাকরির জন্য উপরোক্ত শর্ত পূরণ করে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হতে হবে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত না হওয়ায় পর্যন্ত বোয়েসেলকে কোনো সার্ভিস চার্জ বা ফি দিতে হয় না। নির্ধারিত চার্জ বা ফি ব্যাংক কর্তৃক পে-অর্ডারের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে।