আমি সাবিত ইসলাম, আজকে আমি আপনাদের বলব কিভাবে আপওয়ার্ক থেকে ৭০ হাজার ডলার (৯০ লাখ টাকা প্রায়) আয় করলাম। আমার ক্লাইয়েন্টসরা আমাকে মোবাইল এবং ওয়েব ডেভলপার হিসেবে চিনে। আমি পৃথিবীর প্রায় প্রতিটা দেশের মানুষের (ক্লায়েন্ট) সাথেই কাজ করেছি। অপরকে আমি একজন টপ রেটেড প্লাস ব্যাজধারী ফ্রিল্যান্সার।
Table of Contents
কিভাবে আপওয়ার্কে জয়েন করলাম
আপওয়ার্ক হল বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। এখানে বর্তমানে ১৮ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার এবং প্রায় ছয় মিলিয়ন রেজিস্টার্ড ল্যান্ড রয়েছে। যদিও এদের মধ্যে এক্টিভ বা সক্রিয় আছে ১২ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার এবং প্রায় ৯০ লাখের মত ক্লায়েন্ট একাউন্ট।
তো সাধারণতঃ আর দশ জনের মত আমিও একা একা আপওয়ার্কে পথ চলতে শুরু করেছিলাম। অবশ্য প্রায় এক দশক আগে যখন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আমার জার্নি শুরু করেছিলাম তখন এটা আপওয়ার্ক নামে ছিল না, ওডেস্ক নামে ছিল। পরবর্তীতে ইল্যান্স নামে আরেকটা কোম্পানী ওডেক্সের সাথে একসাথে হয়ে আপওয়ার্ক নাম ধারণ করে।
কিভাবে ধারাবাহিকভাবে হাই কোয়ালিটি কাজের মাধ্যমে আমার ক্লাইন্টদের খুশি রাখতে পেরেছি এবং একটি সফল বিজনেস গড়ে তুলেছি – আজকে সেই গল্প বলবো। ক্লাইন্টদের খুশি রাখার জন্য আমাকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে। ভালো কমিউনিকেশন, ভালো কাজ, সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং যথাযথ পরিশ্রম – আমাকে আপওয়ার্কে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছে।
কিভাবে মোবাইল ও ওয়েব ডেভলপার হলাম
মোবাইল ও ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রায় ৮/৯ বছর আগে, যখন আমি কলেজে পড়াশোনা করতাম। কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে আমার আগ্রহ থাকলেও প্রথম দিকে এটি শুধুমাত্র একটি শখ ছিল। প্রথমদিকে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আমি আমার যাত্রা শুরু করেছিলাম। কিন্ত সময়ের সাথে সাথে আমি বুঝতে পারলাম যে, প্রযুক্তি এবং প্রোগ্রামিং নিয়ে আমার কৌতূহল আসলে একটি পেশায় রূপান্তরিত হতে পারে। সেই সময় থেকেই আমি মোবাইল এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠি।
প্রথমে আমি HTML, CSS এবং জাভাস্ক্রিপ্টের মত প্রাথমিক ওয়েব ্রিলেটেড জিনিসগুলা শিখতে শুরু করি। অনলাইনে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল এবং কোর্সের মাধ্যমে আমি ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের মৌলিক বিষয়গুলি আয়ত্ত করি। সেই সময়ে, আমি ছোট ছোট প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে শুরু করি যা আমাকে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সহায়তা করে। প্রতিটি প্রজেক্ট শেষ করার সাথে সাথে আমার আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে এবং আমি আরও জটিল প্রজেক্টে হাত দেই।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি আমি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের দিকে ঝুঁকি। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য অ্যাপ তৈরি করার জন্য আমি জাভা এবং সুইফট প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখি। প্রথমদিকে, এটি বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল কারণ মোবাইল ডেভেলপমেন্টের জন্য আলাদা দক্ষতা ও এনভায়রনমেন্ট প্রয়োজন। তবে, ধৈর্য এবং নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে আমি ধীরে ধীরে দক্ষ হয়ে উঠি।
একসময় আমি ওয়ার্ডপ্রেস, লারাভেল,জাঙ্গো, রিয়্যাক্ট জেএস, নেস্ট জেএস, নেক্সট জেএস ইত্যাদির মত বিভিন্ন ফ্রেমওয়ার্ক এবং প্ল্যাটফর্মের সাথে কাজ শুরু করি। এই প্ল্যাটফর্মগুলি আমাকে আরও দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে সাহায্য করে। ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার সময় আমি সবসময় তাদের চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা বোঝার চেষ্টা করি, যাতে আমি তাদের জন্য সেরা সমাধান প্রদান করতে পারি।
এখন, আমার পোর্টফোলিওতে ৩৫০+ ওয়েবসাইট এবং অসংখ্য মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। আমি ১০০+ গ্রাহকের সাথে কাজ করেছি এবং তাদের সন্তুষ্টি অর্জন করেছি। প্রতিটি প্রজেক্ট থেকে আমি নতুন কিছু শিখেছি এবং সেই জ্ঞানকে আমার পরবর্তী প্রজেক্টে প্রয়োগ করেছি। মোবাইল ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের প্রতি আমার ভালোবাসা এবং নতুন প্রযুক্তি শেখার আগ্রহই আমাকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে।
মোটকথা, মোবাইল ও ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে আমার যাত্রা ছিল একটি ক্রমাগত শেখার এবং উন্নতির প্রক্রিয়া। প্রতিদিন আমি নতুন কিছু শিখছি এবং আমার দক্ষতা বৃদ্ধি করছি। আমার লক্ষ্য হল আমার গ্রাহকদের জন্য সেরা সেবা প্রদান করা এবং প্রযুক্তির জগতে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানো।
ক্লায়েন্টদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক বজায় রাখা
ফ্রিল্যান্সিং জগতে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্লায়েন্টদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করা, তাদের প্রয়োজন এবং সমস্যা বুঝতে চেষ্টা করা আমার কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যখনই আমি নতুন কোনো প্রকল্প শুরু করি, প্রথমেই আমি ক্লায়েন্টের সাথে একটি মিটিং করি, যাতে আমি তাদের প্রয়োজনীয়তা এবং চাহিদা ভালোভাবে বুঝতে পারি। এটি ক্লায়েন্টদের আমার প্রতি তাদের বিশ্বাস এবং আস্থা বাড়ায়, আর আমার সাথে কাজ করতে তাদের আগ্রহী করে তোলে। এছাড়াও, ক্লায়েন্টদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা তাদের সাথে আমার সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তোলে।
নিজেকে বিক্রি করা
আপওয়ার্কে সফল হতে হলে নিজেকে বিক্রি করা শিখতে হবে। প্রোফাইল তৈরি করার সময় আমি আমার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং অর্জনগুলি তুলে ধরেছিলাম। আমি আমার কাজের নমুনা, সফল প্রজেক্টগুলির বিস্তারিত এবং ক্লায়েন্টদের ফিডব্যাকগুলো (প্রশংসামূলক মন্তবা) যোগ করি। এটি আমাকে সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে সহায়তা করে। আমি সবসময় আমার প্রোফাইল আপডেট রাখি এবং নতুন নতুন প্রজেক্টগুলি যোগ করি, যাতে ক্লায়েন্টরা আমার সর্বশেষ কাজ সম্পর্কে জানতে পারে।
ক্লায়েন্ট সম্পর্ক গড়ে তোলা
ক্লায়েন্টদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা ফ্রিল্যান্সিংয়ের একটি মূল অংশ। প্রতিটি প্রজেক্ট শেষ করার পরেও আমি ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ রাখি। তাদের পরবর্তী প্রয়োজন এবং ফিডব্যাক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। এটি আমাকে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং পুনরায় নতুন কাজ/প্রজেক্ট পেতে সহায়তা করে। আমি সবসময় ক্লায়েন্টদের সেরা সেবা প্রদান করার চেষ্টা করি, যাতে তারা আমার সাথে বারবার কাজ করতে চায়।
অবিচল ও দৃঢ় থাকা
ফ্রিল্যান্সিংয়ের পথে অনেক বাধা আসে। প্রতিটি প্রজেক্ট সফল হয় না এবং প্রতিটি ক্লায়েন্ট সন্তুষ্ট হয় না। তবে, এই চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করার জন্য মানসিক দৃঢ়তা প্রয়োজন। আমি কখনও হাল ছাড়িনি, বরং প্রতিটি ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েছি এবং আরও ভালো করার চেষ্টা করেছি। প্রতিটি সমস্যাকে আমি একটি নতুন সুযোগ হিসেবে দেখেছি এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেছি।
কিছু কিছু ক্লাইন্টদের সাথে ঝামেলা ও মনোমালিন্য তৈরি হয়। তখন ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করি কিভাবে তার সাথে এই বৈরী বা বিরূপ সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা যায়। আমি তখন তাকে নরম সুরে আমার অবস্থান ব্যাখ্যা করি। এবং রিকুয়েস্ট করি আমার চিন্তাভাবনায় যদি ভুল থাকে তাহলে সে যেন সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে।
কৌশলগত মূল্য নির্ধারণ করা
আমার সাফল্যের একটি বড় কারণ হল আমি কৌশলগত মূল্য নির্ধারণ করেছি। আমি আমার সেবা এবং দক্ষতার মান বুঝে মূল্য নির্ধারণ করি। কখনও কখনও আমি কম দামে কাজ শুরু করেছি যাতে ক্লায়েন্টদের আস্থা অর্জন করতে পারি এবং পরে ধীরে ধীরে আমার মূল্য বাড়িয়েছি। আমি সবসময় প্রতিযোগিতামূলক দাম প্রদান করার চেষ্টা করি, যাতে ক্লায়েন্টরা আমার সেবা গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়।
ট্যালেন্ট ব্যাজ অর্জন করা
আপওয়ার্কে ট্যালেন্ট ব্যাজ অর্জন করা আমার জন্য বড় একটি অর্জন। প্রথমে আমি ‘রাইজিং ট্যালেন্ট’ ব্যাজ পেয়েছি, যা নতুন প্রতিভা হিসেবে আমাকে চিহ্নিত করেছে। এরপর ‘টপ রেটেড’ ব্যাজ, যা আমাকে শীর্ষ ১০% ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে স্থান দিয়েছে।
তারপর ‘টপ রেটেড প্লাস’ ব্যাজ, যা আমাকে শীর্ষ ৩% ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই ব্যাজগুলি আমাকে আরও বেশি ক্লায়েন্ট আকর্ষণ করতে এবং তাদের আস্থা অর্জন করতে সহায়তা করেছে।
আপওয়ার্কে আপনি যেসব ব্যাজ অর্জনের জন্য কাজ করতে পারেনঃ
- রাইজিং ট্যালেন্ট – প্রতিশ্রুতিশীল নতুন প্রতিভা: এই ব্যাজটি নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য, যারা প্রতিশ্রুতিশীল এবং দক্ষ।
- টপ রেটেড – শীর্ষ ১০% প্রতিভা: এই ব্যাজটি শীর্ষ ১০% ফ্রিল্যান্সারদের জন্য, যারা উচ্চ মানের কাজ এবং ক্লায়েন্টদের সন্তুষ্টি অর্জন করেছে।
- টপ রেটেড প্লাস – শীর্ষ ৩% প্রতিভা: এই ব্যাজটি শীর্ষ ৩% ফ্রিল্যান্সারদের জন্য, যারা বড় এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রজেক্টে সফল হয়েছে।
- এক্সপার্ট ভেটেড – শীর্ষ ১% প্রতিভা: এই ব্যাজটি শীর্ষ ১% ফ্রিল্যান্সারদের জন্য, যারা বিশেষজ্ঞ এবং উচ্চ মানের কাজ প্রদান করে।
আপনার দক্ষতার পরিসর বৃদ্ধি করুন
আমি সবসময় আমার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। নতুন প্রযুক্তি এবং প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে শিখেছি এবং সেগুলি আমার কাজে প্রয়োগ করেছি। এটি আমাকে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখে এবং আমাকে আপওয়ার্কে ক্লায়েন্টদের নতুন নতুন সেবা প্রদান করতে সহায়তা করে। নতুন স্কিল শিখে আমি আমার প্রোফাইলকে আরও সমৃদ্ধ করেছি এবং আরও বেশি ক্লায়েন্ট আকর্ষণ করতে পেরেছি।
ফিডব্যাক এবং রিভিউকে অগ্রাধিকার দিন
আপওয়ার্কে ক্লায়েন্টদের ফিডব্যাক এবং রিভিউ আমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি প্রজেক্টের পর আমি ক্লায়েন্টদের ফিডব্যাক নিতে ভুল করি না। যদি কোন ক্লায়েন্ট ফিডব্যাক না লিখতে চায়, আমি তাকে অনুরোধ করি ফিডব্যাক লিখে দেওয়ার জন্য।
এটি আপওয়ার্কে নতুন ক্লায়েন্টদের আমার সম্পর্কে ভালো ধারণা দেয় এবং তাদের আমাকে বেছে নিতে উৎসাহিত করে। ইতিবাচক রিভিউ আমার প্রোফাইলের মান বাড়ায় এবং আমাকে আরও বেশি প্রজেক্ট পেতে সহায়তা করে।
আপনার ব্যবসা বাড়ান
আপওয়ার্কে সাফল্য অর্জন করার পর আমি আমার ব্যবসা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছি। যখন আমার নিজের পক্ষে সব কাজ করা সম্ভব ছিল না, তখন আমি একটি ছোট দল তৈরি করেছি যারা আমাকে কাজ করতে সহায়তা করে। এটি আমাকে আরও বেশি প্রজেক্ট গ্রহণ করতে এবং আরও বেশি আয় করতে সহায়তা করেছে।
আমি সবসময় আমার দলের দক্ষতা এবং সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করি, যাতে আমরা একসাথে আরও ভালো কাজ করতে পারি। যদিও আমার ইন-হাউজ কোন টিম নাই। যারা আমার সাথে কাজ করে তারা সবাই রিমোটলি কাজ করে।
আমার মত হতে পারেন আপনিও
আপওয়ার্কে আমার অ্যাকাউন্ট সেট আপ করার সময়, আমি জানতাম না এটি আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে। আমি জানতাম না আমি আপওয়ার্ক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারব। যদিও আমি আশা করেছিলাম যে আমি সফল হব এবং সচরাচর চাকুরীর একটি বিকল্প পাব, কিন্তু কোন নিশ্চয়তা ছিল না। আমি শিখেছি যে ফ্রিল্যান্সিংকে একটি ব্যবসা হিসেবে দেখতে হবে।
আমি আমার ব্র্যান্ড, সাবিত ইসলাম গড়ে তুলেছি এবং নিজেকে এটার পিছনে পুরোপুরি নিবেদন করেছি। আমি ক্লায়েন্টদের আগে রাখি এবং প্রতিবার তাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সরবরাহ করার চেষ্টা করি, যা আমার দীর্ঘমেয়াদী ক্লায়েন্ট এবং ইতিবাচক রিভিউ পেতে সহায়তা করে। যখন আমার পক্ষে সমস্ত কাজ একা করা সম্ভব ছিল না, তখন আমি অতিরিক্ত কাজ করার জন্য রিমোটলি একটি ছোট দল তৈরি করেছি।
আপনিও যদি এই পথে হাঁটতে চান, তবে প্রথমেই আপনার লক্ষ্য এবং পরিকল্পনা নির্ধারণ করুন। কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য এবং কৌশলগত পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনি আপওয়ার্কে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। শুভকামনা!