যারা প্রবাসে যেতে ইচ্ছুক তাদের কাছে সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশে অনেক ভাবে যাওয়া যায়। যেমন কোন এজেন্সির মাধ্যমে, বিদেশের অবস্থিত কোন কোম্পানির আমন্ত্রণে, বিদেশে নিজেদের আত্মীয়-স্বজন থাকলে তাদের মাধ্যমে, সরকারি মাধ্যমে ইত্যাদি।
Table of Contents
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় ২০০ টির মতো দেশ রয়েছে। কিন্তু যেসব দেশের জীবনমান উন্নত এবং অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো – বিদেশ গমনেচ্ছুকরা শুধুমাত্র সেসব দেশেই যেতে চায়। বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সেটার একটা তালিকা নিতে দেওয়া হলো।
পাশাপাশি ঐসব দেশে যাওয়ার উপায় নিয়ে এই ওয়েবসাইটে ধীরে ধীরে পোস্ট করা হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য অনুরোধ রইল।
| ক্রমিক নং | দেশের নাম | যাওয়ার উপায় |
|---|---|---|
| ১ | জাপান | কিভাবে যাবেন |
| ২ | অস্ট্রেলিয়া | কিভাবে যাবেন |
| ৩ | কানাডা | কিভাবে যাবেন |
| ৪ | সৌদি আরব | কিভাবে যাবেন |
| ৫ | কাতার | কিভাবে যাবেন |
| ৬ | লেবানন | কিভাবে যাবেন |
| ৭ | ওমান | কিভাবে যাবেন |
| ৮ | রোমানিয়া | কিভাবে যাবেন |
| ৯ | ভারত | কিভাবে যাবেন |
| ১০ | দক্ষিণ কোরিয়া | কিভাবে যাবেন |
| ১১ | সিঙ্গাপুর | কিভাবে যাবেন |
| ১২ | কুয়েত | কিভাবে যাবেন |
| ১৩ | যুক্তরাষ্ট্র | কিভাবে যাবেন |
| ১৪ | যুক্তরাজ্য | কিভাবে যাবেন |
| ১৫ | লন্ডন | কিভাবে যাবেন |
| ১৬ | মালয়েশিয়া | কিভাবে যাবেন |
| ১৭ | সংযুক্ত আরব আমিরাত | কিভাবে যাবেন |
| ১৮ | মালদ্বীপ | কিভাবে যাবেন |
| ১৯ | ইরাক | কিভাবে যাবেন |
| ২০ | সুইজারল্যান্ড | কিভাবে যাবেন |
| ২১ | কম্বোডিয়া | কিভাবে যাবেন |
| ২২ | লিবিয়া | কিভাবে যাবেন |
| ২৩ | জর্ডান | কিভাবে যাবেন |
| ২৪ | ইটালি | কিভাবে যাবেন |
| ২৫ | বাহারাইন | কিভাবে যাবেন |
| ২৬ | জ্যামাইকো | কিভাবে যাবেন |
| ২৭ | নিউজিল্যান্ড | কিভাবে যাবেন |
| ২৮ | ফিনল্যান্ড | কিভাবে যাবেন |
| ২৯ | মরিশাস | কিভাবে যাবেন |
| ৩০ | থাইল্যান্ড | কিভাবে যাবেন |
| ৩১ | চীন | কিভাবে যাবেন |
| ৩২ | শ্রীলঙ্কা | কিভাবে যাবেন |
| ৩৩ | ব্রুনাই দারুসসালাম | কিভাবে যাবেন |
| ৩৪ | ডেনমার্ক | কিভাবে যাবেন |
| ৩৫ | ফ্রান্স | কিভাবে যাবেন |
| ৩৬ | পোল্যান্ড | কিভাবে যাবেন |
কত টাকা লাগবে সরকারী ভাবে বিদেশ যেতে
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে প্রায় ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়। এতে পাসপোর্ট ফি, ভিসা আবেদন ফি, ভিসা প্রসেসিং ফি, বিমানের টিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, এবং মেডিকেল রিপোর্টের খরচ অন্তর্ভুক্ত। সব মিলিয়ে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে মোট খরচ প্রায় ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকার মধ্যে থাকে।
অন্যদিকে, কোনো দালাল বা ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ যেতে চাইলে খরচ প্রায় ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে যায়। তাই, যেকোনো দেশে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কাজ করতে যেতে চাইলে, সরকারিভাবে উক্ত দেশের ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করার জন্য নিয়ম তান্ত্রিক পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন।
কিভাবে সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে পারেন
সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় বা সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে প্রথমে গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে AMI PROBASHI অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন। অ্যাপটি খুলে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে যে দেশের ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে চান, সেই দেশের জন্য আবেদন করুন।

এই অ্যাপের সাহায্যে আপনি যেই দেশে যেতে চান এবং যে কাজের জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক, সেই কাজের বেতন, চাকরীর মেয়াদ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাছাড়া এপটি ব্যবহার করা খুবই সহজ। বিদেশ গমন, কাজ, ডকুমেন্টস সহ নানা ধরণের প্রয়োজনীয় তথ্য আপনি এই এপের মাধ্যমে পেতে পারেন।
চাকুরীর জন্য আবেদন করার পর, আপনার দেয়া সকল তথ্য যাচাই করা হবে। আপনার আবেদনকৃত কাজের দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এই প্রমাণপত্র যাচাই করে যদি আপনার প্রোফাইল তাদের পছন্দ হয়, তাহলে আপনাকে ইন্টারভিউর জন্য ডাকা হবে। ইন্টারভিউ সফলভাবে সম্পন্ন হলে, আপনি সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পাবেন। এই পদ্ধতিতে কোনো দালাল বা ভিসা এজেন্সির প্রয়োজন নেই।
সরকারি ভাবে বিদেশে যেতে হলে কি করতে হবে
সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে খরচ তুলনামূলক কম ও নিরাপদ হওয়ার কারণে অনেকেই এভাবে বিদেশ যেতে চান। কিন্ত তার আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিশ্চিত করে নিনঃ
- বয়সের সীমাঃ আপনার বয়স ১৮ বছর বা তার উপরে হতে হবে। কারণ, ১৮ বছরের নিচে অপ্রাপ্তবয়স্ক ধরা হয় এবং তারা বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পায় না।
- পাসপোর্টের অবস্থাঃ আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ পরীক্ষা করে দেখুন। যদি পুরনো পাসপোর্ট থাকে, তা হলে তার মেয়াদ কেমন আছে তা যাচাই করুন। নতুন পাসপোর্ট করতে হলে, নিশ্চিত করুন যে আপনার এনআইডি কার্ড এবং পাসপোর্টের তথ্য সঠিকভাবে মিলছে।
- ভিসা সংক্রান্ত কাগজপত্রঃ আপনি যে দেশে যেতে চান, সেই দেশের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলি সঠিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করুন। যদি কাগজপত্র সম্পূর্ণ না থাকে, দ্রুত সেগুলি সংগ্রহ করুন।
- কাজের অভিজ্ঞতাঃ বিদেশে গিয়ে কোন ধরনের কাজ করবেন তা সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করুন। যদি অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে সেই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত।
সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়
আমাদের দেশে সরকারি মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার জন্য সাধারণত তিন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়ঃ
- শ্রমিক ভিসাঃ বিদেশে কাজ করার জন্য এই ভিসা প্রাপ্তি।
- স্টুডেন্ট ভিসাঃ শিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এই ভিসা।
- ভ্রমণ ভিসাঃ পর্যটন বা অন্যান্য সফরের জন্য বিদেশে যাওয়ার ভিসা।
এই তিনটি ভিসা সরকারী ভাবে আবেদন করলে আপনার ঝুঁকি কমে যায়। কারণ, স্থানীয় এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন, যেমন কথার সাথে কাজের মিল না থাকা, বিদেশে গিয়ে কাজের সুযোগ না পাওয়া, পরবর্তীতে পুনরায় টাকা দাবী করা ইত্যাদি। সরকারি মাধ্যমে যাওয়ার ফলে আপনার কষ্টের টাকা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে।






